ডাক্তার নিয়োগে বিশেষ বিসিএসের মতো শিক্ষক নিয়োগেও অনুরূপ বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি কর্মকমিশনে (পিএসসি) চাহিদাপত্র দিয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহেই এ ধরনের একটি চাহিদাপত্র পিএসসিতে দেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন পিএসসিতে এ ধরনের চাহিদাপত্র পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পিএসসির চলমান প্রক্রিয়ায় শিক্ষা ক্যাডারে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াটি খুবই দীর্ঘ ও সময়সাপেক্ষ। সরকারি কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের যে চাহিদা রয়েছে, পিএসসির চলমান প্রক্রিয়ায় তা কখনোই শতভাগ পূরণ করা যাবে না। তাই শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ক্ষতি এবং সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষামান কমে যাওয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে পিএসসিতে বিশেষ বিসিএসের জন্য অনুরোধ ও চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কলেজ শাখা সূত্রে জানা যায়, সরকারি কলেজগুলোতে তীব্র শিক্ষক সঙ্কট চলছে। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকেরও অভাব রয়েছে। শুধু কলেজেই নয়, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকসঙ্কট আরো ভয়াবহ। শিক্ষক না থাকায় বাংলার শিক্ষকরা অন্য বিষয়েরও পাঠদান করছেন। শিক্ষক না থাকায় সরকারি কলেজগুলোতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। এ ছাড়া জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সরকারি স্কুল-কলেজগুলোতে শিক্ষকরা থাকতে চান না। এসব কারণে সরকারি কলেজ ও সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। সরকারি কলেজ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারছে না।
সরকারি কলেজগুলোতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের স্বল্পতা-সঙ্কট-চাহিদার সর্বশেষ পরিসংখ্যান সম্পর্কে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) কলেজ শাখা সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি কলেজে এক হাজার ১৮৮ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকেই গত সপ্তাহে পিএসসিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত এ চিঠি পিএসসির সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ সূত্র জানায়, এ ধরনের চাহিদাপত্র সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে সময় লাগতে পারে। চিঠি পেলে এ ব্যাপারে আরো প্রক্রিয়াগত কাজ সম্পন্ন করে পিএসসির প্রস্তুতি ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য সময় লাগবে।
পিএসসি সূত্রে বলা হয়েছে, বর্তমানে পিএসসি ৩৭, ৩৮ ও সদ্যসমাপ্ত ৩৯-এর বিশেষ বিসিএস নিয়ে বেশি ব্যস্ত। আগামী মাসে অথবা চলতি মাসের শেষের দিকে ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা রয়েছে। ৪০তম বিসিএসের জন্য ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। সূত্র আরো জানায়, ৪০তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে ২০০ জন, পুলিশে ৭৫ জন, পররাষ্ট্রে ২৫, ইকোনমিক ক্যাডারে ৪৫, কর ক্যাডারে ২৪ জন, অডিটে ২২, শিক্ষায় দুই শতাধিক, আনসারে ১২ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন পর কাস্টমস ক্যাডারে ৩২ জন কর্মকর্তা নেয়ার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ৩৬তম বিসিএস থেকে ৮৯৮ জন, ৩৭তম বিসিএস থেকে ২২৪ জন এবং ৩৮তম বিসিএস থেকে ৯৫৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর সূত্রে বলা হয়েছে, বিশেষ বিসিএসে ১১৮৮ কলেজ শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে সরকারি কলেজগুলোতে বিভিন্ন বিষয়ের তিন হাজার ৩৫১টি শূন্য পদ রয়েছে। ৩৬তম বিসিএসের নিয়োগপত্র আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই জনপ্রশাসন থেকে ইস্যু করা হবে। গত ৩১ জুলাই প্রায় ৩৭ মাস পর নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা